বইটি নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করুন
ভূমিকা
প্রশংসা মহান আল্লাহর নিমিত্ত। সালাত ও সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, তাঁর প্রিয়তম মুহাম্মাদ (সাঃ), তাঁর পরিজন, সহচর ও অনুসারীদের উপর। 'এহইয়াউস সুনান ও ইসলামী আকীদা' গ্রइঘয়ে আকীদা ও সুন্নাত বিষয়ক বিভিন্ন প্রসঙ্গে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুললাহুর বক্তব্য উদ্ধৃত করে উল্লেখ করেছি যে, আমাদের সমাজের অনেকে তাঁর অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও এ সকল বিষয়ে তাঁর মতের সাথে সাংঘর্ষিক মত পােফণ করেন। এ সকল বক্তব্য অনেক পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অনেকে ঈমান, আকীদা, সুন্নাত, বিদআত ইত্যাদি বিষয়ে ইমাম আবু হানীফা ও তাঁর ছাত্রদের মত জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন: আমরা তাে ফিকহী বিষয়ে হানাফী, আকীদায় আশআরী বা মাতুরিদী ও তরীকায় কাদিরী, চিশতী বা নকশবন্দী। আমরা কি ফিকহ, আকীদা ও তরীকা সকল বিষয়ে হানাফী হতে পারি না? ইমাম আবু হানীফার কি কোনাে আকীদা ও তরীা ছিল না? খাকলে তা কী ছিল?
প্রকৃতপক্ষে ইমাম আবু হানীফা (রাহ) আকীদাকে সর্বোচ গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা দেখব যে, তিনি কিকহ বিষয়ে কোনাে প্রন্থ রচনা না করলেও আকীদা বিষয়ে কয়েকটি পুণ্তিফা রচনা করেছেন, আকীদা বিষয়ক জ্ঞানকে শ্রেষ্ঠ ফিকহ বা আল-ফিকল আকবার বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং ফিকহী বিষয়ে ইজতিহাদ ও মতভেদের অনুমতি দিয়েছেন কিন্তু আকীদা বিষয়ে ইজতিহাদ ও মতভেদ নিষেধ করেছেন।
ইমাম আযমের (রাহ) রচনাবলির মধ্যে আকীদা বিষয়ক ৫টি পুক্তিকা প্রসিদ্ধ। তন্মধ্যে আল-ফিকহল আকবার পুত্তিকাটির দুটি ভাষ্য। একটি 'আল-ফিকল আৰবার এবং অন্যটি আল-ফিকহুল আবসাত নামে প্রসিদ্ধ। কোনাে কোনাে গবেষক দ্বিতীয় পুস্তিকাটি, অর্থাৎ আল-ফিহল আবসাত নামে পরিচিত পুত্তিকাটিই মূল আল-ফিকছুল আকবার বলে মত প্রকাশ করেছেন। ইমাম আবু হানীফার রচনাবলি পরিচছেদে আমরা
দেখব যে, সনদ ও মতনে প্রথম পুক্তিকাটিও আল-ফিকহল আকবার হিসেবে প্রমাণিত ।
আমরা এ পুপ্তিকাটিকেই অনুবাদের জন্য মূল হিসেবে গ্রহণ করেছি। কারণ এ পুস্তিকাটিতে 'আল-ফিকহল আবসাত ও তাঁর রচিত সবগুলাে পুস্তিকার আলােচ্য বিষয়ের সার-সংক্ষেপ সহজ ভাষায় আলােচিত। ইসলামী আকীদার বিভিন্ন দিকের সামগ্রক আলােচনা এ পুস্তিকার যেভাবে বিদ্যমান তাঁর রচিত অন্যান্য পুক্তিকায় সেভাবে নেই। এজন্য আমি এ পুস্তিকাটি অনুবাদ করার এবং এর ভিত্তিতে ইসলামী আকীদার বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করার সিদধান্ত গ্রহণ করি। পাশাপাশি আল-ফিকহল আবসাত ও ন্যান্য পুস্তিকা থেকে প্রাসঙ্গিক সকল বক্তব্য উদ্ধত করেছি।
আল-ফিকল আকবারের ব্যাখ্যায় আকীদা বিষয়ে ইমাম আবু হানীফা (রাহ)- এর মত জানতে তাঁর লেখা পুক্তিকাগুলাে ছাড়া আরাে দুটি গ্রন্থের উপর নির্ভর করেছি:
(১) তৃতীয়-চতুর্থ শতকের প্রসিদ্ধ হানাফী ফকীহ ইমাম আবু জাফর আহমদ ইবন সালামা তাহাবী (২৩৮-৩২১ হি) রচিত আল-আকীদাহ আত-তাহাবিয়যাহ। এ পুস্তিকাটি তিনি ইমাম আবু হানীফা ও তাঁর সাথীদয়ের আকীদা কর্ণনায় রচনা করেন।
(২) চতুর্থ-পঞ্চম হিজরী শতকের প্রসি্ধ হানাফী ফকীহ ইমাম আবুল আলা সায়িদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আহমদ নাইসাপুরী (৩৪৩-৪৩২ হি) রচিত অল-ইতিকাদ।
এ গ্রন্থটিতে তিনি ইমাম আবু হানীফার আকীদা বিষয়ক বক্তব্যগুলাে সংকলন করেছেন।
ফিকহুল আকবার গ্রন্থের একটি বৈশিষ্ট আলােচ্য বিষয়ের বৈচিত্র। আকীদার পরিচিত আলােচ্য বিষয়গুলাে ছাড়াও তারাবীহ, রিয়া, উজ্ব, কিয়ামতের আলামত, রাসুলুল্লাহ ()-এর সন্তানদের পরিচয় ইত্যাদি অনেক বিষয় তিনি আলােচনা করেছেন।
এ বিষয়ক আলােচনা ও ব্যাখ্যা আমাদের এ বইটির কলেবর কিছুটা বৃদ্ধি করেছে।
আল-ফিকহল আকবারের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করতে যেয়ে দেখলাম যে, মুসলিম উম্মাহর বিভ্রান্তির উৎস ও বিষয়বস্তু দ্বিতীয় শতকে যা ছিল বর্তমানেও প্রায় তা-ই রয়েছে। খারিজীগণের 'তাকফীর ও জিহাদ নামের উ্রতা, জাহমী-মুরজিয়াদের মারিফাত ও ঈমান বিষয়ক প্রান্তিকতা, শীয়াগণের অতিভক্তি ও বাতিনী ইলমের নামে অদ্ধত্ব এবং মুতাফিলীগণের বুদ্ধিবৃত্তিকতার নামে ওহীর অবমূল্যায়ন বর্তমান যুগেও একইভাবে উম্মাতের সকল ফিতনার মূল বিষয় । এগুলাের সাথে বর্তমান যুগে যােগ
হয়েছে তাওহীদ বিষয়ক অজ্ঞতা ও শিরকের ব্যাপকতা। এ সফল ফিতনার সমাধানে সে যুগে ইমাম আবু হানীফা ও অন্যান্য ইমাম যা বলেছেন বর্তমান যুগেও সেগুলােই আমাদের সমাধানের পথ দেখাবে। এ জন্য এ সকল বিধয়ে ফিকল আকবারের বক্তব্য ছাড়াও ইমাম আবু হানীফা ও আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্যান্য ইমামের বক্তব্য বিস্তারিত আলােচনা করেছি। স্বভাঅবতই এতে ব্যাখ্যার কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে।
আল-ফিকহুল আকবারের অন্যতম আলােচ্য মহান আল্লাহর বিশেষণ বিষয়টি আমাদের অনেকের জন্যই সম্পূর্ণ নতুন বা ভিন্ন আঙ্গিকের। আমাদের সমাজে প্রচলিত অনেক আকীদা এক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফা ও তাঁর ছাত্রদের আকীদার সম্পূর্ণ উল্টো। যেমন, মহান আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান'-এ আকীদাকে ইমাম আবু হানীফা ও তাঁর ছাত্রগণ জাহমী ফিরকার কুষরী আকীদা এবং সর্বেশ্বরবাদেরই ভিন্নরপ বলে গণ্য
করেছেন। পক্ষান্তরে আমাদের সমাজের অনেক মুসলিম এ আকীদা পােষণ করেন।
বিষয়টি জটিল হওয়াতে আমি একটু কিন্তারিতভাবে তা পর্যালােচনার চেষ্টা করেছি।
এ বইটিকে আমি দুটি পর্বে ভাগ করেছি। প্রথম পর্ব তিনটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। প্রথম পরিচ্ছেদে ইমাম আবু হানীফার জীবনী ও মূল্যায়ন, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে ইমাম আবু হানীফার রচনাবলি ও তৃতীয় পরিচ্ছেদে ইমুল আকীদা ও ইলমুল কালাম বিষয়ে আলােচনা করেছি।
দ্বিতীয় পর্ব আল-ফিকছল আকবার গ্রন্থের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা। তাবিয়ী যুগের আলিমগণ পরবর্তী যুগের মত অধ্যায় বিন্ন্ত গ্রন্থ রচনা করেন নি। তাঁরা তাঁদের বক্তব্যগুলাে অনেকটা অবিন্য্তভাবে সংকলন করেছেন। অথবা তাঁরা মুখে বলেছেন এবং ছাত্ররা তা লিখেছে। এজন্য 'আল-ফিকল আকবার পুস্তিকাটির আলােচ্য বিষয় পরবর্তী যুগের গ্রন্থাদির মত সুবিন্যস্ত নয়। একই বিষয় বিভিন্ন স্থানে আলােচনা করা হয়েছে।
এজন্য এর আলােচ্য বিষয়কে বিষয়ভিত্তিক পরিচ্ছেদে বিভক্ত করা কঠিন। কিন্যাসের
সুবিধার জন্য আমি আল-ফিকুল আকবার গ্রন্থের বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে
অনুবাদ ও ব্যাখ্যাকে পাঁচটি পরিচ্ছেদে ভাগ করেছি। প্রত্যেক পরিচ্ছেদে ইমাম আযমের
বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় আলােচ্য বিষয় ব্যাখ্যা করেছি।
আকীদা বিষয়ক ও সুন্নাহ নির্ভর সকল আলােচনা ও গ্রন্থ রচনায় আমার প্রেরণার উৎস ছিলেন আমার স্ব্তর ফুরফুরার পীর শাইখ আবুল আনসার সিদ্দিকী (রাহ)। সুন্নাহ ভিত্তিক বিশুদ্ধ আকীদা গ্রহণে ও প্রচারে তিনি ছিলেন আপােষহীন। আমাদেরকেও আপােষহীন হতে প্রেরণা দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তাঁর ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করুন, তাঁর নেক আমলগুলাে কবুল করুন, আমাদের ও উম্মাতের পক্ষ থেকে তাঁকে সর্বোত্তম পুরস্কার প্রদান করুন এবং আখিরাতের অনন্ত জীবনে আমাদেরকে জান্নাতে একত্রিত করুন।
আল-ফিকহুল আকবার-এর অনুবাদ ও ব্যাখ্যা রচনায় আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়েছেন ভাই শামসুল আরিফিন খলিদ। তরু থেকেই তিনি উৎসাহ দিয়েছেন এবং বারবার পা্ডুলিপি দেখে বিভিন্ন গঠনমূলক পরামর্শ দিয়েছেন। ইমাম আবু হানীফা, চার ইমাম ও সালাফ সালিহীনের (রাহিমাহমুল্লাহ)
বক্তব্যের আলােকে বিশদ্ধ সুন্নাহ নির্ভর আকীদার প্রচার এবং আকীদা বিষয়ক বিতর্ক হানাহানি ও প্রাত্তিকতার অবসানে তাঁর আওরিক আবেগ, পরামর্শ ও প্রচেষ্টা মহান আল্লাহ কবুল করুন ও তাকে দুনিয়া ও আখিরাকের সফলতা দান করুন।
আমার প্রিয়জনের়া গ্রন্থটির রচনায় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। বিশেষত আস-সুন্নাহ ট্রাস্টে আমার সহকর্মীগণ ড. শুআইব আহমদ, মুফতি শহীদুল্লাহ, শাইখ যাকারিয়া, শাইখ মুশাহিদ আলী, ভাই আব্দুর রহমান ও অন্যান্য সকলেই বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন। প্রফেসর ড. অলী উল্যাহ, ডা, আব্দুস সালাম সুমন ও মাওলানা ইমদাদুল হক প্রফ দেখেছেন ও পরামর্শ দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁদেরকে এবং অন্যান্য উলামায়ে কিরাম
যারা আমাকে বিভিন্ন গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে সহযােগিতা করেছেন সকলকেই উক্তম
পুরস্কার দান করুন। এ বইয়ের মধ্যে অগণিত ইমাম, আলিম ও বুজুর্গের নাম বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। প্রত্যেকের নামের সাথে প্রত্যেক স্থনে দুআর ইঙ্গিত হিসেবে (রাহ) লেখা সম্ভব হয় নি। পাঠকের প্রতি অনুরােধ, সকল আলিমের নামের সাথে 'রাহিমাহুল্লাহ বলে তাদের জন্য দুআ করবেন। তাঁদের মাধ্যমেই আমরা দীন পেয়েছি এবং তাঁদের জন্য দুআ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। মহান আল্লাহ এ গ্রন্থে উল্লেখকৃত সকল আলিমকে এবং মুসলিম উম্মাহর সকল আলিমকে অফুর্ রহমত দান করুন। আমীন
তথ্যসূত্র প্রদানে পাদটীকায় গ্রন্থকারের নাম, গ্রন্থের নাম ও পৃষ্ঠা উল্লেখ করেছি। গ্রন্থ বিষয়ক বিশারিত তথ্য বইয়ের শেষে গ্রন্থপঞ্জীর মধ্যে উল্লেখ করেছি। অনেক ক্ষেত্রে 'আল-মাকতাবাতুল শামিলা-র উপর নির্ভর করেছি।
আল-ফিকহুল আকবার-এর ব্যাখ্যা সাধারণ বাঙ্তালী পাঠকদের জন্য সহজবােধ্য করার চেষ্টা করেছি। এজন্য অনেক বিষয়ে বিস্তারিত বিতর্ক, আলােচনা বা উদ্ধৃতি পরিহার করেছি। ফলে অনেক সময় আলিমগণের নিকট বিষয়টি অসম্পূর্ণ বা ক্রুটিপূর্ণ মনে হতে পারে। এছাড়া বিষযব্তর জটলতা ও আমার ইলমী সীমাবদ্ধতার কারণে বইরের মধ্যে ভুলান্তি থেকে বাওয়াই স্বাভবিক। সম্মানিত কোনাে পাঠক বদি আতিলাে জানিয়ে দেন তবে তা আমার প্রতি বড় ইংসান হযে। মহান আল্লাহ তাঁকে পুরস্কৃত করবেন। এাড়া থযপত ও উপস্থাপনাগত যে কোনাে পরামর্শ আমরা সাদরে প্রহণ করব। আমরা পরবর্তী সংস্করণে তুলাে সংশােধন করব, ইনশা আল্লাহ।
ইসলামী ইলমের সকল শাখার উদ্দেশ্য মুমিনের জীবনকে রাসূলুল্লাহ -এর অনুসরণে পরিচালিত করা। ইলমুল ফিকহ-এর উদ্দেশ্য মুমিনের ইবাদত, মুআমালাত ও সকল কর্মকাণ্ড যেন অবিকল রাসূলুল্লাহ ও সাহাবীগণের আদলেই পালিত হয়।
ইলমুত তাযকিয়া বা তাসাউফের উদ্দেশ্য মুমিনের হৃদয়ের অবস্থা যেন অবিকল তাঁদের পবিত্র হৃদয়গুলাের মত হয়ে যায়। ইলমুল আকীদার উদ্দেশ্য মুমিনের বিশ্বাসের সকল বিষয় যেন হুবহু তাঁদের বিশ্বাসের সাথে মিলে যায়। আমরা বিশ্বাস করি, আকীদা বিষয়ে সুন্নাতে নববীর পুনরুজীবনের জন্যই ইমাম আবু হানীফা কলম ধরেছিলেন। আমাদের অনুবাদ ও ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যও একই। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দুআ করি, আমাদের এ নগণ্য প্রচেষ্টাকে তাঁর প্রিয়তমের সুন্নাতের পুনরুজ্জীবন ও প্রতিষ্ঠায় কবুল করে নিন। আমাদের সকলের হৃদয়কে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ()-এর সুন্নাতের অনুগত করে দিন। ঈমানে, আকীদায়, ফিকহে, তাকিয়ায় ও জীবনের সকল ক্ষেত্রে সুন্নাত জানতে, মানতে, প্রচার করতে ও সুন্নাতের জন্য সুন্নাতের ব্যতিক্রম সকল কিছুকে অকাতরে বিসজন দিতে আমাদের হৃদয়গুলােকে শক্তি দান করুন। আমীন।
মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন দয়া করে আমার এ গ্রন্থটির ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে এটি কবুল করে নেন। একে আমার, আমার পিতামাতা, স্ত্রী- পরিজন, শুভাকালীগণ ও সকল পাঠকের নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন। আমীন!
সালাত ও সালাম আল্লাহর খালীল মুহাম্মদ (), তাঁর পরিজন ও সহচরগণের উপর
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
0 Comments